মড়ি pdf download অঙ্কুর বর Mori - Ankur Bar

সুন্দরবন এলাকায়, বাঘ কখনো কোন বড় শিকার করলে, বাঘ সেই শিকার একবারে খেতে পারে না। অর্ধভুক্ত সেই দেহ সে রেখে দিয়ে যায় পরে আরেকবার এসে খাবে বলে। বাঘের এই আধখাওয়া মৃতদেহকেই বলা হয় মড়ি।

কিন্তু সুন্দরবনের এই তত্ত্ব কিভাবে উত্তরদিনাজপুরের একটি মফঃস্বল শহর হেমতপুরের মানুষের ঘুম কেড়ে নিলো? মড়িক্ষণই বা কী? এই ক্ষণে কেউ মারা গেলে, কেন তার সৎকার করে না, হেমতপুরের লোকেরা? বরং তাকে রেখে আসে, বাড়ির খোলা ছাদে বা নিভৃত কোণ কোণে।কেন? কার জন্য? কে আসে সেই মৃৎদেহ ভক্ষণের জন্য...

কেন পশ্চিমের জঙ্গলের, দিকে সচরাচর যায় না এলাকার লোকেরা? ওরা বিশ্বাস করে, ওখানে অমুয়ারা থাকে। যাদের মুখ দেখা মানেই সর্বনাশ হওয়া। কারা এই অমুয়া? আর ওখানে ওরা কী করছে?

মৃতপ্রায় নিহারিনীদেবীর শেষ সময়ে কলকাতা থেকে হেমতপুরে এসে উপস্থিত হয়, তার ভাইপো সুমেশ সান্যাল। সঙ্গে স্ত্রী বীথি আর ছেলে টুপাই। এদের এখানে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যায় হেমতপুরের লোকেদের ভাগ্য। নেমে আসে চরম বিপদ। লোভের বশবর্তী হয়ে ভুল করে এমন কাকে মুক্ত করে সুমেশ আর বীথি? আর তার জন্য তাদেরই বা কী মাসুল দিতে হয়?

অতীতের কোন ঘটনা, আজও অভিশাপের মত জিইয়ে রেখেছে হেমতপুরের এক ভয়ঙ্করীকে? এই অভিশাপ থেকে আদেও কী কখনো মুক্তি পাবে এখানকার লোকেরা? নাকি সৃষ্টির শেষ পর্যন্ত বয়ে যেতে হবে এই অভিশাপের ভার?




Post a Comment

0 Comments